কেন্দ্রীয় বস্ত্রমন্ত্রী শ্রী গিরিরাজ সিং বুধবার, ২০ নভেম্বর, ২০২৪ বস্ত্রক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গের দক্ষতা এবং পোশাক শিল্পে সে মসলিনই হোক, যা একটি আংটির মধ্য দিয়ে চলে যায় আবার, পাটের বস্ত্রই হোক, এই রাজ্যের দীর্ঘ ইতিহাসের প্রশংসা করেন। শ্রী সিং দু’দিনের সফরে পশ্চিমবঙ্গে নতুন দিল্লি এবং গ্রেটার নয়ডায় ১২-১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ অনুষ্ঠিতব্য ভারত টেক্স এক্সপো-র প্রচারে এসেছেন। এই সূত্রে তিনি রোড শো-এ অংশ নেওয়ার পাশাপাশি পোশাক প্রস্তুতকারী সংস্থা এবং পাট শিল্প সংস্থাগুলির প্রতিনিধিদের সঙ্গে দেখাও করেছেন।
শ্রী সিং বলেন, ভারত টেক্স, ২০২৫ ‘আত্মনির্ভর ভারত’-এর একটি ছোট উদাহরণ। এই এক্সপো ভারতের বস্ত্রশিল্পের শক্তি তুলে ধরতে চলেছে। তিনি আরও জানান, বস্ত্রশিল্প ২০৩০-এর মধ্যে বেড়ে ৩৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার হবে এবং আরও ৩ কোটি ৫০ লক্ষ কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর কথামতো ভারত টেক্স, ২০২৫-এর লক্ষ্য প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণ করা। পাঁচ হাজারের বেশি প্রদর্শক এতে অংশ নিতে আসবেন। ২ লক্ষ ২০ হাজার বর্গমিটার এলাকা জুড়ে হওয়া এই এক্সপোয় ছ’হাজারের বেশি বিদেশি ক্রেতার পাশাপাশি থাকবে ১২ হাজার বিভিন্ন রকম বস্ত্রসামগ্রী।
মন্ত্রী বলেন যে, সেদিন খুব বেশি দূরে নয় যখন ভারত বস্ত্রশিল্পে চিনকে পেরিয়ে যাবে। তিনি জোর দিয়ে বলেন, বস্ত্রশিল্পের জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের পিএলআই কর্মসূচি পোশাক শিল্পের উৎপাদন এবং ব্র্যান্ডিং বৃদ্ধি করতে সক্ষম করবে। মন্ত্রী আরও বলেন, পিএলআই কর্মসূচি বস্ত্রশিল্পে মূল্য শৃঙ্খলকে যুক্ত করতে সাহায্য করবে এবং দেশে নিয়ে আসবে বিদেশি বিনিয়োগ। ভারত টেক্স, ২০২৫ হল প্রধানমন্ত্রীর পাঁচটি ‘এফ’ দর্শনের প্রতিরূপ – ফার্ম টু ফাইবার টু ফ্যাক্টরি টু ফ্যাশন টু ফরেন। তিনি টেকনিক্যাল টেক্সটাইল বিষয়ে বলতে গিয়ে যে কথাটি বলেন সেটি হল, শুধুমাত্র শিল্পশৈলীর জন্য নয়, কৃষি, নির্মাণ, খেলোয়াড়দের পোশাক, স্বাস্থ্য পরিষেবায় ব্যবহার্য বস্ত্র যেমন ডায়াপার, স্যানিটারি ন্যাপকিন, ডিসপোজেবল ইত্যাদি – এসব কিছুর জন্যই নকশা করা।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত বস্ত্র ও বিদেশ প্রতিমন্ত্রী শ্রী পবিত্র মার্গারিটা পশ্চিমবঙ্গের সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের প্রশংসা করেন এবং এই সূত্রে রাজ্যের জমকালো জামদানি এবং বালুচরী শাড়ির উল্লেখ করেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত বিশিষ্টজনেদের মধ্যে ছিলেন কেন্দ্রীয় বস্ত্র মন্ত্রকের অতিরিক্ত সচিব শ্রী রোহিত কানসাল এবং পাট ও বস্ত্র মন্ত্রকের বরিষ্ঠ আধিকারিক ও প্রতিনিধিরা।