৫৫-তম ভারতীয় আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব (আইএফএফআই)-তে ভারতীয় প্যানোরামা বিভাগে উদ্বোধনী পূর্ণ দৈর্ঘ্যের ছবি হিসেবে স্বতন্ত্র বীর সাভারকার প্রদর্শিত হয়। এই ছবি নির্মাণের সঙ্গে জড়িত কলাকুশলীরা সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হন। অভিনেতা রণদীপ হুডা ছবিটির নির্দেশক, সেইসঙ্গে ছবিতে তিনি বিনায়ক দামোদর সাভারকরের মূল চরিত্রে অভিনয়ও করেছেন। সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তিনি জানান, আমাদের অজ্ঞাত নায়কের জীবনের প্রকৃত গল্প তুলে ধরার দায়িত্ব তিনি নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছেন। রণদীপ হুডা বলেন, সাভারকার সবসময় চাইতেন, সামরিকভাবে ভারত শক্তিশালী হোক। ছবিটিতে ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে সশস্ত্র সংগ্রামের দিকটিকে ফুটিয়ে তোলা হয়। এতে দেখানো হয় বিপ্লবীরা কেন নিজেদের হাতে অস্ত্র তুলে নিতে অনুপ্রাণিত হয়েছিলেন।
অভিনেত্রী অঞ্জলি হুডা ছবিতে ভিকাজি কামার ভূমিকায় অভিনয় করেছেন। সংবাদিক সম্মেলনে তিনি বলেন, ছবিতে অভিনয় করতে গিয়ে সাভারকারের ব্যক্তিগত জীবন তাঁকে বিশেষভাবে অনুপ্রাণিত করেছিল। তিনি বলেন, এককথায় বলতে গেলে ছবিটি তাঁর চোখ খুলে দিয়েছে। আগামীদিনে দেশের অজ্ঞাত এ রকম নায়কদের জীবনের ওপর আলোকপাত করতে অনুরূপ ছবি তৈরি হবে বলেও তিনি আশাপ্রকাশ করেছেন।
জয় প্যাটেল, মৃণাল দত্ত এবং অমিত সিয়াল সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন। এই ছবিটিতে তাঁরাও নানা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় অভিনয় করেছেন।
ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে অজ্ঞাত নায়ক বীর সাভারকারের জীবনের অকথিত নানা গল্প ছবিতে তুলে ধরা হয়েছে। মাতৃভূমির প্রতি তাঁর অকৃত্রিম ভালোবাসা এবং ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে যোগ দিয়ে তাঁকে কী করুণ পরিণতির শিকার হতে হয়েছিল, তাও ফুটে উঠেছে ছবিটিতে। বিনায়ক দামোদর সাভারকার ছিলেন একজন বিপ্লবী চিন্তাবিদ। ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন তিনি। সশস্ত্র আন্দোলনের সোচ্চার উদ্গাতা হিসেবে তাঁর রূপান্তরের চিত্র ছবিতে ধরা পড়েছে। সেইসঙ্গে আদর্শের জন্য তাঁর সংগ্রাম এবং সেলুলার জেলে তাঁর অন্তরীণ থাকার দিনগুলিও ফুটে উঠেছে। সাভারকার একটি জটিল চরিত্র। শক্তিশালী এবং স্বনির্ভর ভারত গড়ে তোলায় তাঁর দৃষ্টিভঙ্গী আজও অনুরণিত হয়।
ছবিটির পরিচালক রণদীপ হুডা। প্রযোজকদের মধ্যে রয়েছেন আনন্দ পণ্ডিত, শ্যাম খান, সন্দীপ সিং এবং যোগেশ রাহার। চিত্রনাট্য রচনা করেছেন রণদীপ হুডা।
ছবিটিতে অভিনয় করেছেন রণদীপ হুডা, অঙ্কিতা লোখান্ডে, অমিত সিয়াল, মৃণাল দত্ত, জয় প্যাটেল এবং অঞ্জলি হুডা।